সনাতন ধর্মে নরকের বর্ননা Part-2

Please Click Here to Read সনাতন ধর্মে নরকের বর্ননা Part-1

(৯) অন্ধকূপ

ইহ জগতের অনেক নিম্ন স্তরে প্রাণী রয়েছে।যেমন – মশা, মাছি, সর্প, ইত্যাদি  প্রকারের কীট ও সরীসৃপ। যারা তাদের কর্মফল হেতু ৮৪ লক্ষ যোনীতে  পাক খাচ্ছে। মশা এবং অন্যান্য অনেক কীট মানুষ্য ও অন্যান্য জীবের রক্ত পান করে থাকে। এই প্রকার নগণ্য প্রাণীদের কোন ধারণা নেই যে, তাদের দংশনের ফলে মানুষের কষ্ট হয়। কিন্তু মনুষ্য জাতির চেতনা উন্নত এবং তাই তারা জানে মৃত্যু কত বেদনাদায়ক। বিবেক সমন্বিত  মনুষ্য যদি বিবেকহীন তুচ্ছ প্রাণীদের হত্যা করে অথবা যন্ত্রণা দেয়, তার নিশ্চয়ই পাপ হয়। অনেক মনুষ্যই অকারনেই  সর্প, টিকটিকি, গিরগিটি  ব্যাঙ ইত্যাদি প্রাণীদের  হত্যা করে থাকে। মৃত্যুর পর ওই মনুষ্যদের যমদূতেরা  “অন্ধকূপ” নামক নরকে নিক্ষেপ করে। সেই নরকে ভয়ানক কীটপতঙ্গ সর্পাদি ওই পাপী ব্যক্তিকে ক্রমাগত দংশন করতে থাকে।যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে সে কোথাও বিশ্রাম করতে না পেরে অন্ধকারে নিরন্তর ছোটাছুটি করতে থাকে। এইভাবে এই নরকে সে একটি নিম্নস্তরের প্রাণীর মতো যন্ত্রণা ভোগ করে।

(১০) কৃমিভোজন

ইহ লোকে যে ব্যক্তি কোনো ভোজ্য দ্রব্য প্রাপ্ত করে, পরিবার, অভুক্ত অতিথি,বালক , বৃদ্ধ,পশু – পাখী  দের যথাযথ অংশ না প্রদান করে, একলাই ভক্ষণ করে।বা ভগবানের জন্যে আগত কোনো ভোজ্য দ্রব্য ভগবান কে নিবেদন না করে ,সে নিজে ভোগ করে। মৃত্যুর পর তাকে যমদূত গণ “কৃমিভোজন” নামক একটি নিকৃষ্ট নরকে নিক্ষেপ করে।এই স্থান  ১,০০,০০০ যোজন পর্যন্ত বিস্তৃত।এবং মাংস লোলুপ কৃমিতে পরিপূর্ণ।এই নরকের কৃমিরা ওই ব্যক্তি কে ভক্ষণ করে। এই নরকের বিস্তার যত যোজন তত বছর সেখানে ওই পাপী ব্যক্তি কে শাস্তি ভোগ করতে হয়।

(১১) সন্দংশ

জীবিত কালে যে ব্যক্তি ,উচু কুলে( ব্রাহ্মণ) জন্মেও চৌর্য জাত কর্ম ( চুরি)লিপ্ত হয়, অন্যের ধন অপহরণ করে ,প্রবঞ্চনা করে ,ছলনার দ্বারা অন্যের সম্পত্তি আত্মসাত করে ।এবং নিজ স্বার্থের কারণে শাস্ত্রের ভুল ব্যাক্ষা করে,এবং নির্বল দের শোষণ করে । মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তিকে “সন্দংশ” নামক নরকে নিক্ষেপ করা হয়।এই নরকে তপ্ত লৌহময় অগ্নিপিণ্ড এবং সাঁড়াশির দ্বারা সেই পাপী ব্যাক্তির ত্বক ছিন্নভিন্ন করা হয়। এইভাবে তার সারা দেহ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়। এই শাস্তি কয়েকশো বছর ধরে চলতে থাকে।

(১২) তপ্তসূর্মি

ইহ জগতে যে ব্যক্তি কামনার দ্বারা পীড়িত হয়ে, শাস্ত্রের আজ্ঞা উলঙ্ঘন করে বহু নারীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। এবং যে স্ত্রী অগম্য পুরুষে অভিগমন করে,  মৃত্যুর পর “যম দূত ”  তাকে ” তপ্ত সূর্মী” নরকে নিক্ষেপ করে।এই নরকে চলে অদম্য চাবুকের প্রহার । এরপর পুরুষকে তপ্ত লৌহময় স্ত্রীমূর্তি,  স্ত্রীকে সেই প্রকার পুরুষ-মূর্তির দ্বারা আলিঙ্গন করায়। এভাবেই অবৈধ যৌন সঙ্গের দণ্ড প্রদান করা হয়।এই শাস্তি কয়েক কল্প যাবৎ চলতে থাকে।

(১৩) বজ্রকণ্ট-শাল্মলী

ইহ জগতে যে ব্যক্তি কামনার দ্বারা পীড়িত হয়ে পশুর সঙ্গে ব্যভিচার করে।মৃত্যুর পর “যম দূত ”  তাকে “বজ্রকণ্ট-শাল্মলী” নামক নরকে নিক্ষেপ করে।এই নরকে বহু শাল্মলী বৃক্ষ রয়েছে, যার কাঁটা বজ্রের মতো ভীষণ। যমদূতেরা সেই পাপী ব্যক্তিকে  সেই  শাল্মলী বৃক্ষের উপর চড়িয়ে  ক্রমাগত টানতে থাকে । তার প্রভাবে সেই কাঁটার দ্বারা সেই ব্যাক্তির সারা দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ওই পাপী ব্যক্তিকে এই শাস্তি ভোগ করতে হয় কয়েক হাজার বছর ধরে।

(১৪) বৈতরণী

জীবদ্দশায় কোনো রাজপুরুষ বা রাজকুলে জন্ম নেওয়া কোনো ব্যক্তি। অথবা শ্রেষ্ঠ কুলে( ব্রাহ্মণ ,ক্ষত্রিয় )জন্ম নেওয়া কোনো ব্যক্তি অহংকারের বসে ধর্মের বিরুদ্ধ আচরণ করে। দুর্বল ও অসহায় দের ওপর অত্যাচার ও শোষণ করে । তবে মৃত্যুর পর ওই ব্যক্তিকে “যম দূত ”  “বৈতরণী” নামক  নদীতে নিক্ষেপ করে। পুরান মতে এই নদীর জল রক্তের মত লাল ও তপ্ত লোহার মতো গরম। এই  নদীতে বিষ্ঠা, মুত্র, পুঁজ, রক্ত, কেশ, নখ, অস্থি, মেদ, মাংস এবং চর্বি সদা ভাসমান। ওই ব্যক্তি এই ঘৃণিত পদার্থ ভক্ষণ করতে বাধ্য হয়।এবং নদীর জল ভয়ানক জলচর প্রাণী দ্বারা পরিপূর্ণ। এই নদীর বিস্তার কয়েক লক্ষ যোজন পর্যন্ত ।সেই নদী পার হতে কয়েক হাজার বছর সময় লাগে।ওই পাপী ব্যক্তি  বৈতরণী পর হওয়ার সময়,ক্রমাগত তার পাপ কর্মের কথা স্মরণ করতে থাকে।

(১৫) পূয়োদ

জীবদ্দশায় যে ব্যক্তি, শাস্ত্র আজ্ঞা উলঙ্ঘন করে পশুর মত জীবনযাপন করে। সমস্ত লজ্জা ত্যাগ করে গুরু জন ,বৃদ্ধ জন দের অপমান করে মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তি” পূয়োদ” নামক নরকে নিক্ষেপিত হয়। যা পুঁজ, মূত্র, রক্ত, লালা ইত্যাদি ঘৃণিত বস্তুতে পূর্ণ একটি কুণ্ড। এই কুণ্ডে এই পাপী ব্যক্তি ওই সমস্ত ঘৃণিত পদার্থ ভক্ষণ করে জীবিত থাকে। এই শাস্তি কয়েকশো বছর ধরে চলতে থাকে।

(১৬) প্রাণরোধ

ইহ জগতে যে ব্যক্তি উচু কুলে জন্মে (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় এবং বৈশ্য) । 

নিম্ন স্তরের পশু কুকুর,ইত্যাদি প্রাণীকে পালন করে ও গৃহের সদস্যের স্থান দেয়। গৃহের সদস্যের মতোই তাদের সাথে আচরণ করে।এবং অযথা মৃগয়ায় গিয়ে নিরীহ পশু – পক্ষী দের হত্যা করে।তবে মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তি “প্রাণরোধ” নামক নরকে নিক্ষেপিত হয়। এই নরকে যমদূতেরা ওই পাপী ব্যক্তি কে লক্ষ্য করে ক্রমাগত তীর নিক্ষেপ করতে থাকে। তীর বিদ্ধ ওই ব্যক্তি যন্ত্রনায় কাতর হয়ে পড়ে।এই শাস্তি কয়েকশো বছর ধরে চলতে থাকে।

(১৭) বিশসন

ইহ জগতে যে ব্যক্তি উচ্চ কুল জাত ও সম্মানীয় ব্যক্তি (ব্রাহ্মণ , পন্ডিত), ধর্মের নামে শাস্ত্রের ভুল ব্যাক্ষা দিয়ে ভন্ডামি করে। এবং ভন্ডামি করে যজ্ঞে বা দেবী আরাধনায় পশু বলি দেয় বা পশু বলি র নির্দেশ দেয়। মৃত্যুর পর ওই ব্যক্তিকে যমদূত গণ “বিশসন” নামক নরকে নিক্ষেপ করে। এই নরকে ওই ব্যাক্তিকে বলি প্রাপ্ত পশুর ন্যায় বার বার শিরচ্ছেদ করা হয়। কয়েক কল্প যাবৎ এই শাস্তি চলতে থাকে।

(১৮) লালাভক্ষ

যে ব্যাক্তি তার জীবদ্দশায় নিজ পত্নী কে বশে রাখার জন্যে ,জোর পূর্বক নিজের বীর্য (semen) পান করায়। মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তি  “লালাভক্ষ” নামক নরকে নিক্ষেপিত হয়। এই নরকে বাহিত হয় বীর্য নদী যম দূতেরা ওই ব্যক্তিকে বলপূর্বক ওই নদীতে  ফেলে বীর্য পান করায়। এই শাস্তি কয়েকশো বছর ধরে চলতে থাকে।

(১৯) সারমেয়াদন

ইহলোকে যে সমস্ত ব্যক্তি দস্যুবৃত্তি করে, পরগৃহে অগ্নি দেয়, পর গৃহের ধন অপহরণ করে।এবং অপরের কুকর্মে সহযোগিতা হেতু অর্থ লাভের আশায় অন্য ব্যাক্তি কে বিষ প্রদান করে। অথবা যে সমস্ত রাজা বা রাজপুরুষ কর আদায়ের নামে এবং অন্যান্য উপায়ে বণিক সম্প্রদায়ের ধন বলপূর্বক বা দুর্নীতির দ্বারা লুঠ করে, মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তি “সারমেয়াদন” নামক নরকে নিক্ষেপিত হয়। এই নরকে ৭২০টি বজ্রের মতো দন্ত যুক্ত কুকুর রয়েছে। যমদূতের নির্দেশে সেই কুকুরগুলি অত্যন্ত তৃপ্তির সঙ্গে সেই সমস্ত পাপীদের  মাংস ছিঁড়ে ছিঁড়ে ভক্ষণ করে। প্রচণ্ড প্রীড়ায় ওই ব্যক্তি ক্রমাগত চিৎকার করতে থাকে।এই শাস্তি কয়ক লক্ষ বছর ধরে চলতে থাকে।

(২০) অবীচিমৎ

জীবদ্দশায় যে ব্যক্তি  কোনো আইনী কার্যে সাক্ষ্য প্রদান কালে ,ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত  অথবা সম্পদ দান- গ্রহন সংক্রান্ত ,কোন প্রকার মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করে। মৃত্যুর পর  যমদূত গণ ওই ব্যক্তিকে “অবীচিমৎ” নামক নরকে নিক্ষেপ করে।প্রস্তর নির্মিত পৃষ্ঠস্থল জলের মতো প্রতীত হয়।কিন্তু সেখানে কোন জল নেই। ঠিক মরীচিকার মতো পরিলক্ষিত হয়। যমদূত সেই পাপী ব্যক্তিকে বার বার পাহাড়ের উপর থেকে নিক্ষেপ করে। এবং তার দেহ তিল তিল করে বিদীর্ণ হয়, কিন্তু তার ওই দেহের তো মৃত্যু হয় না ।এবং ওই ব্যক্তি কয়েক যুগ ধরে নিরন্তর সেই যন্ত্রণা ভোগ করতে থাকে।

(২১) অয়ঃপান

ইহ জগতে যে ব্যক্তি অহেতুক কোনো ব্রত, নিয়ম বা সংকল্প গ্রহন করে এবং কোনো কারণ ছাড়াই ব্রত, নিয়ম বা সংকল্প ভঙ্গ করে। এবং আমোদ – প্রমোদ হেতু  সূরা পান করে। মৃত্যুর পর সেই ব্যক্তি “অয়ঃপান” নামক নরকে নিক্ষেপিত হয়। এই নরকে যমদূতেরা ওই ব্যক্তির  বক্ষঃস্থলে উপবেশন করে তাকে জোর পূর্বক প্রচণ্ড উতপ্ত গলিত লোহা পান করায়।এই শাস্তি চলতে চলতে থাকে কয়েক লক্ষ বছর ধরে।

(২২) ক্ষারকর্দম

জীবদ্দশায় যে ব্যক্তি চার বর্নাশ্রম (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য,সুদ্র) এর নিয়ম অবজ্ঞা করে, অধম হয়েও অহংকার করে, নিজেকে শ্রেষ্ঠ কুল জাত মনে করে ,নিজেকে সর্বেসর্বা মনে করে,এবং কোনো বিশেষ গুণ বা রূপের অহংকারে নিমজ্জিত হয়।তার থেকে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিকে অবজ্ঞা করে মৃত্যুর পরে ওই ব্যক্তি ক্ষারকর্দম নামক নরকে নিক্ষেপিত হয়।এই নরকে ওই ব্যক্তি যমদূতদের দ্বারা প্রচণ্ডভাবে নির্যাতিত হয়ে অত্যন্ত দুঃখ-যন্ত্রণা ভোগ করে। এই শাস্তি বহু কাল যাবৎ চলতে থাকে।

(২৩) রক্ষোগণ ভোজন

জীবদ্দশায় যে ব্যক্তি বিভিন্ন দেব দেবীর উদ্দেশ্য  পশু বলিদান করে। এবং প্রসাদ হিসেবে পশুর মাংস ভক্ষণ করে। এতবার ওই ব্যক্তি “রক্ষোগণ ভোজন “নামক নরকে নিক্ষেপিত হয়। এখানে ওই ব্যাক্তিকে সুতীক্ষ্ন অস্ত্রের দ্বারা  খণ্ড খণ্ড করে কাটে। ইহলোকে যজ্ঞকারী ব্যক্তি যেভাবে নরবলি দিয়ে তার রক্ত পান করে আনন্দে নৃত্য-গীত করে, হিংসিত ব্যক্তিরাও তেমন পরলোকে যজ্ঞকারীর রক্ত পান করে আনন্দে নৃত্য-গীত করে।

(২৪) শূলপ্রোত

জীবদ্দশায় যে ব্যক্তি অরণ্য বা বিভিন্ন বৃক্ষ থেকে পশুপাখি স্বীকার করে এবং তাদের তীর বা অন্যান্য সূল দ্বারা আহত করে। এবং তাদের নিয়ে নানান ক্রীড়া করে মৃত্যুর পর ওই ব্যক্তিকে “শূলপ্রোত নামক ” নরকের নিক্ষেপিত হয়। সেখানে তাদের শরীর তীক্ষ্ন শূল ইত্যাদির দ্বারা বিদ্ধ করা হয়। সেখানে তারা ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় পীড়িত হয় এবং চতুর্দিক থেকে বক, শকুন প্রভৃতি তীক্ষ্ন-চঞ্চু পক্ষী এসে তাদের দেহ ছিন্নভিন্ন করতে থাকে। এইভাবে যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে তারা তখন তাদের পূর্বকৃত পাপকর্মের কথা স্মরণ করতে থাকে।

(২৫) দন্দশূক

যে ব্যক্তি  ইহলোকে সর্পের মতো ক্রোধপরায়ণ হয়ে অন্য প্রাণীদের যন্ত্রণা দেয়, তারা পরলোকে “দন্দশূক নামক নরকে” পতিত হয়। সেই নরকে পঞ্চমুখ ও সপ্তমুখ সর্পেরা তাদের মূষিকের মতো গ্রাস করে।

(২৬) অবটনিরোধন

যে ব্যাক্তি ইহলোকে অন্য প্রাণীদের অন্ধকূপে, বন্ধ গৃহে,গর্তে বা পাহাড়ের গুহায় রুদ্ধ করে কষ্ট দেয়, মৃত্যুর পর তাদের “অবটনিরোধন নামক” নরকে নিক্ষেপ করা হয়। সেখানে অন্ধকূপাদিতে বিষাক্ত ধূম এবং বহ্নির দ্বারা শ্বাসরোধ করে তাদের কঠোরভাবে যন্ত্রণা দেওয়া হয়।

(২৭) পর্যাবর্তন

যে ব্যক্তি ইহলোকে গৃহস্থ অবস্থায় অতিথি ,দরিদ্র ব্যক্তি  যে গৃহপতি অতিথি অভ্যাগত দেখলে ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠে এবং পাপকুটিল দৃষ্টি দ্বারা যেন তাদের ভস্মীভূত করতে উদ্যত হয়,  মৃত্যুর পর তাকে “পর্যাবর্তন নামক” নরকে নিক্ষেপ করা হয়, যেখানে বজ্রের মতো কঠিন চক্ষুবিশিষ্ট শকুন, বক, কাক ইত্যাদি পক্ষীরা সেই পাপদৃষ্টি ব্যক্তির চক্ষু সহসা বলপূর্বক উৎপাটন করে।

(২৮) সূচীমুখ

যে ব্যক্তি ইহলোকে ধন সম্পদের অহংকারে গর্বিত থাকে। অন্য ব্যক্তিদের হিন মনে করে । এবং সর্বদা ধন সম্পদ আগলে রাখে। এবং নিজের আত্মীয় পরিজন পরিবার সবাইকে সন্দেহ করে। প্রতারণা করে। মৃত্যুর পর ও ই ব্যক্তিকে” সূচি মুখ” নামক নরকে নিক্ষেপিত হয়। এখানে ওই ব্যক্তিকে অসংখ্য ধারালো সুচ ফুটিয়ে আহত করে এবং এই শাস্তি অনন্তকাল চলতে থাকে।

Leave a Comment